চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ বীকন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা বিজনেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম সাখাওয়াত হোসেন সম্প্রতি তার ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলার রায় কে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়ায়া। তারই প্রতিক্রিয়া তিনি তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন।
তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি দৈনিক প্রভাতবার্তায় সরাসরি তুলে ধরা হলো..
প্রিয়_বন্ধুরা!
সম্প্রতি আমার কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে অসংখ্য ভাইয়েরা সমবেদনা প্রকাশ করে ইনবক্সে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ইতিমধ্যেই আমি অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদেরকে তাদের প্রায় ৪৭ কোটি টাকা মুলধনের বিপরীতে লভ্যাংশসহ প্রায় ৬৮ কোটি টাকা নগদ/সম্পদের বিনিময়ে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি।
প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে ব্যবসা করতে না পারায় প্রত্যাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ না পেলেও প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও লাভসহ বুঝে নিয়েছে।
ল্যান্ড খাতের গ্রাহকদের দেনাও প্রায় ২৫ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় ১১ কোটি টাকার মত ব্যাংক ও পার্টি পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। এপার্টমেন্ট প্রকল্পের প্রায় ৪০ কোটি টাকার গ্রাহক লাইবেলিটিও গ্রাহকদের সহযোগিতা পেলে আগামী ৫/৬ মাসের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হবে ইন শাহ আল্লাহ। সবমিলিয়ে প্রায় ৮ শতাধিক লোকের মাঝ থেকে এখন আর মাত্র কয়েক ডজন লোকের সমাধান বাকী রয়েছে।
এই অবশিষ্ট ভাইদেরকে বারবার তাগাদা দেয়া সত্বেও সম্পদ বুঝে নিতে গড়িমসি করার কারনে মাত্র কয়েক কোটি টাকার সমাধান ঝুলে রয়েছে। এজন্য আমাকে দায়ী করা এক ধরনের অন্যায়। একমাত্র পরিচালক নুরুল আবছার ও মাত্র ২ জন স্টাফ নিয়ে নানা ঝড়ঝন্জা মোকাবিলা করে আমি মানুষের পাওনা বুঝিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত ছিলাম এবং এখনো প্রস্তুত রয়েছি।
আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে চ্যলেন্চ দিয়ে বলছি, আমরা কখনো কারো পাওনা অস্বীকার করি নাই। কখনো টাকা দেবোনাও বলি নাই। কারো সাথে কোনদিন রূঢ় আচরণও করি নাই।
তারপরও একজন বিনিয়োগকারী ৫ লক্ষাধীক টাকা নগদে নেয়ার পরও অবশিষ্ট ৫ লক্ষ টাকার বিপরীতে সম্পদ নেয়ার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে গোপনে মামলা করে একতরফা রায় নিয়েছে।
আর রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারনে আমার উপর ক্ষুব্দ একটি গ্রুপ প্রতিশোধ পরায়ন বশত এই রায়ের বিষয়টিকে অতিউৎসাহী হয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ করানোর পাশাপাশি নিজেদের আইডি থেকে ফেইসবুকে শেয়ার, কমেন্ট করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করে। অথচ এদের কেউই আমার প্রতিষ্ঠানে এক টাকার বিনিয়োগও করেনি। এবং কারো পাওনা আদায় করে দিতে কেউ একবারের জন্যও যোগাযোগ করেনি।
তাদের সকলের প্রোফাইল দেখে পরিস্কার হওয়া গিয়েছে যে, এরা সবাই সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি নতুন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। যাদের আদর্শ নাকি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবিক মর্যাদা ও অধিকার ভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা। আদর্শ রাজনীতিবীদদের কাজ হলো মামলা মোকদ্দমার নিস্পত্তি করে দেয়া। পক্ষান্তরে মানুষের মাঝে ঝগড়া বিভেদকে উস্কে দিয়ে সেটার প্রচারনায় আনন্দ অনুভবকারী এই লোকগুলো কেমন আদর্শ রাজনীতিবিদ সেই বিবেচনার ভার আপনাদের কাছেই রাখলাম।
একতরফা মামলার রায় সত্যও হতে পারে মিথ্যাও হতে পারে। অথচ এমন একটি রায় নিয়ে যারা মানুষকে হেয় করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় তারা কত জগন্য হিংস্র হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমার অপরাধ হলো আমি যুক্তিপূর্ণ লেখালেখি দিয়ে তাদের পঁচা মতাদর্শের মুখোশ খুলে দেই।
এই লোকগুলো এটাও বুঝেনা যে এখানেই সব আইনী পক্রিয়া শেষ নয়। আল্লাহর রহমতে সুস্থ হলে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
এখনো যেসব ভাইয়েরা সম্পদ নিতে অনিহা প্রকাশ করে নগদ টাকার জন্য গোঁড়ামী করছেন তাদের প্রতি আহবান, দ্রুত যোগাযোগ করুন। ক্রমেই সম্পদ শেষ হয়ে আসছে এবং ভালো সম্পদ গুলো প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
২০১৬ থেকেই আপনাদের কাউকে চিঠি দিয়েছি, কাউকে মুখে বলেছি এমনকি ফেইসবুক লাইভের মাধ্যমেও একাধিকবার আহবান জানিয়েছি পাওনার বিপরীতে সম্পদ বুঝে নিন। সুতরাং সকলের প্রতি আবারও সবিনয় অনুরোধ, দয়া করে পাওনার বিপরীতে সম্পদ বুঝে নিয়ে আমাকে দায়মুক্ত করুন।
অযথা মিথ্যা তোহমত দিয়ে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানকে যে বা যারা হেয় করার চেষ্টা করছেন একদিন তারাও হেয় হবেন, ছোট হবেন এবং পরকালেও অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে ইন শাহ আল্লাহ।
একজন মানুষ হিসেব, আমি ভুলের উর্ধে নই। আপনাদের আমানতের সঠিক বিনিয়োগ ও সংরক্ষণে আমার ভুলত্রুটি ও গাফিলাতি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। আশা করি দয়াপরবশ হয়ে আমাকে ক্ষমা করে দিবন।।
তাছাড়া তিনি ৮ নভেম্বর থেকে অসুস্থ, ১৮ নভেম্বর কোভিট১৯ পরিক্ষা করা হলে তা পজিটিভ আসে। তাই তিনি দেশবাসী ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া চেয়েছেন।।